আল্লাহর রীতি মুতাবেক কারা এই যমীনে সবচেয়ে বেশী পরীক্ষিত হন?
আল্লাহর রীতি মুতাবেক কারা এই যমীনে সবচেয়ে বেশী পরীক্ষিত হন?
উত্তরঃ- সা'দ ইবন্ আবি ওয়াক্কাস (রা:) হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি
বলেনঃ
عن سعد قال سألت رسول الله صلى الله عليه وسلم أي الناس أشد بلاء فقـال الأنبياء ثم الأمثل فالأمثل فيبتلى الرجل على حسب دينه فإن كان رقيـق الـدين ابتلي على حسب ذاك وإن كان صلب الدين ابتلي على حسب ذاك قـال فمـا تزال البلايا بالرجل حتى يمشي في الأرض وما عليه خطيئة
অর্থ: “সা'দ ইবনে আবী ওয়াক্কাস (রা:) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: আমি বললাম: 'হে আল্লাহ্র রাসূল! মানবজাতির মধ্যে কারা সবচেয়ে বেশি কঠোর যন্ত্রণা ভোগ করে?' তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জবাব দিলেনঃ “নবীগণ, অতঃপর তারা যারা তাদের খুব কাছাকাছি পর্যায়ের, এবং তারপর তারা যারা তাদের খুব কাছাকাছি পর্যায়ের। মানুষ তার দ্বীনের উপর যতটা শক্তিমান হয় সেই হিসেবে তার পরীক্ষা নেয়া হয়। কাজেই যদি সে দ্বীন পালনে কঠোর না হয় তাহলে তার পরিক্ষাও হালকা হবে আর যদি দ্বীন পালনে কঠোর হয় তাহলে তার পরিক্ষাও কঠিন হবে ।
একজন বিশ্বাসীকে ক্রমান্বয়ে পরীক্ষা করা হয় যতক্ষণ পর্যন্ত না সে জমীনের উপর দিয়ে নিষ্পাপ হয়ে হাঁটতে থাকে ।"১০১ এ হাদীস থেকে শিক্ষা হচ্ছে সবচেয়ে বেশী বিপদাপদ সহ্য করেছেন নবীগণ । এরপর নবীদের মত যারা কাজ করেছেন তারা। আর মিল্লাতে ইব্রাহীমের অনুসারীরা মানুষের মধ্যে সব চাইতে বেশী পরীক্ষিত হন। কেননা দাওয়াতী ক্ষেত্রে তারা নবীগণের পদ্ধতির অনুসরণ করে । এ কারণেই আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে ও তাঁর অনুসারীগণ চরম নির্যাতন সহ্য করা সত্ত্বেও কোন প্রকার প্রতিরোধ গড়ে তুলেননি। এ প্রসঙ্গে কয়েকটি ঘটনা উল্লেখ করা হলো । রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিজের ঘটনা
হাদীসে ইরশাদ হয়েছে:
عن ابن مسعود قال بينما رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يصلى عند البيت وأبو جهل وأصحاب له جلوس وقد نحرت جزور بالأمس فقال أبو جهل أيكم فلان فيأخذه فيضعه في كتفى محمد إذا سجد فالبعث يقوم إلى سلا جزور بني أشقى القوم فأخذه فلما سجد النبي -صلى الله عليه وسلم- وضعه بين كتفيه قال فاستضحكوا وجعل بعضهم يميل على بعض وأنا قائم ألظر، لو كانت لى منعة طرحته عن ظهر رسول الله -صلى الله عليه وسلم- والنبي - صلى الله عليه وسلم- ساجد ما يرفع رأسه حتى الطلق إنسان فأخبر فاطمة فجاءت وهي جويرية فطرحته عنه. ثم أقبلت عليهم تشتمهم فلما قضى النبي -صلى الله عليه وسلم- صلاته رفع صوته ثم دعا عليهم وكان إذا دعا دعا ثلاثا. وإذا سأل سأل ثلاثا ثم قال « اللهم عليك بقريش ». ثلاث مرات فلما سمعوا صوته ذهب عنهم الضحك وخافوا دعوته ثم قال « اللهم عليك بأبي جهل بن هشام وعتبة بن ربيعة وشيبة بن ربيعة والوليد بن عقبة وأمية بن خلف وعقبة بن أبي معيط ». وذكر السابع ولم أحفظة فوالذي بعث محمدا -صلى الله عليه وسلم- بالحق لقد رأيت الذين سمى صرعى يوم بدر ثم سحبوا إلى القليب قليب بدر. (صحيح
অর্থ: আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা:) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কার খানায়ে কাবার সামনে সালাত আদায় করছিলেন। আবু জাহেল এবং তার কয়েকজন সাথী তখন কাবার সামনে বসেছিল। তার আগের দিন একটি উট জবাই করা হয়েছিল । আবু জাহেল তার সঙ্গীদের বলল, কে আছো এরকম যে অমুক গোত্রের উটের নাড়ী-ভূড়ীগুলো নিয়ে আসবে এবং অপেক্ষা করতে থাকবে যখন মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সিজদায় যাবে তখন তার ঘাড়ে ওগুলো চাপিয়ে দিবে। তখন তাদের মাঝে সবচেয়ে হতভাগা (উকুবা ইবনে আবী মুআ'ইত) দ্রুত উঠে গেল এবং উটের নাড়ী-ভূড়ী এনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ঘাড়ে চাপিয়ে দিল ।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সিজদা থেকে মাথা উত্তোলন করতে পারছিলেন না। এ অবস্থা দেখে কাফেরগণ হাসাহাসি করতে লাগল এবং একে অপরের গায়ে হেলে পরতে লাগল। (হাদীসের বর্ণনাকারী সাহাবী বলেন) আমার যদি ক্ষমতা থাকতো তাহলে এটাকে প্রতিহত করতাম । অতঃপর এক ব্যক্তি ফাতেমা (রা:) কে খবর দিল । তিনি তখন ছোট মেয়ে ছিলেন তিনি এসে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ঘাড় থেকে ওগুলো সরিয়ে ফেললেন এবং কাফেরদেরকে তিরস্কার করতে লাগলেন।
অতঃপর আল্লাহর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাত শেষ করলেন তখন ওদের বিরূদ্ধে বদদোয়া করলেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন দোয়া করতেন তখন তিনবার করতেন। কাফেররা যখন আল্লাহর নবীর আওয়াজ শুনলো তখন তারা ভয় পেয়ে গেল এবং তাদের হাসি বন্ধ হয়ে গেল। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওদের নাম ধরে ধরে বদদোয়া করলেন। হে আল্লাহ! তুমি পাকড়াও কর আবু জাহেল ইবনে হিশামকে, ওতবা ইবনে শাইবা ও রাবিয়া ইবনে শাইবাকে, ওলীদ ইবনে উক্ববাকে, উমাইয়া ইবনে খালফকে এবং উক্ববা ইবনে আবি মুআ'ইতকে ।
বর্ণনাকারী বলেন, আল্লাহর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সপ্তম ব্যক্তির নামও উল্লেখ করেছিলেন, সেটা আমি ভুলে গেছি। আমি আল্লাহর কসম করে বলছি, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে কয়জনের নাম উল্লেখ করেছিলেন তারা প্রত্যেকে বদরের যুদ্ধে নিহত হয়েছিল । অতঃপর তাদেরকে টেনে হিচড়ে বদরের গর্তে নিক্ষেপ করা হয়েছিল | ১০২
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবী বেলাল (রা:) এর ঘটনা
عن عبد الله قال أول من أظهر إسلامة سبعة رسول الله صلى الله عليه وسلم
وأبو بكر وعمار وأمه سمية وصهيب وبلال والمقداد فأما رسول الله صلى الله عليه وسلم فمنعه الله بعمه أبي طالب وأما أبو بكر فمنعه الله بقومه وأما سائرهم فأخذهم المشركون فألبسوهم أذراع الحديد وصهر ولهم في الشمس فما منهم إنسان إلا وقد واتاهم على ما أرادوا إلا بلال فإنه هانت عليه نفسه في الله وهان
على قومه فأعطوه الولدان وأخذوا يطوفون به شعاب مكة وهو يقول أحد أحد
অর্থ: “আব্দুল্লাহ (রা:) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, সর্ব প্রথম সাত ব্যক্তি ইসলামকে প্রকাশ করেছে। ১. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ২. আবু বকর (রা:) ৩. আম্মার (রা:) ৪. তাঁর মা সুমাইয়্যা (রা:) ৫. সুহাইব (রা:) ৬. বেলাল (রা:) ৭ মিকদাদ (রা:)। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহ তাঁর চাচা আবু তালেবের মাধ্যমে রক্ষা করেছেন । আবু বকর (রা:) কে আল্লাহ (সুব:)তাঁর সম্প্রদায়ের মাধ্যমে রক্ষা করেছেন। আর বাকী সকলকেই মুশরিকরা গ্রেফতার করেছিল এবং তাদেরকে লোহার পোষাক পরিয়ে প্রচন্ড রোদের তাপে ফেলে রাখতো। তাদের সকলের সাথে এই আচর করা হত । বিলালের বিষয়টি ছিল আরো ভিন্ন (কঠোর)। তিনি আল্লাহর জন্য তাঁর জীবনকে ও তাঁর সম্প্রদায়কে তুচ্ছ মনে করেছেন। তাঁকে বেঁধে দুষ্ট ছেলেদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছিল। তারা বিলালকে নিয়ে মক্কার অলি গলিতে ঘোরাফেরা করতো। আর এ অবস্থায় বিলাল (রা:) বলতেন, আহাদ! আহাদ! “আল্লাহ এক, আল্লাহ এক” ”১০৩ আম্মার (রা:) এর ঘটনা
صـلى الله عليـه وسـلم - عن عثمان قال : بينما أنا أمشى مع رسول الله بالبطحاء إذ بعمار وأبوه وأمه يعذبون في الشمس ليرتدوا عن الإسلام فقال أبـو عمار يا رسول الله الدهر هكذا فقال صبراً يا آل ياسر اللهم اغفر لآل ياسر وقد فعلت
অর্থ: “উসমান ইবনে আফ্ফান (রা:) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, একদা আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে মক্কায় হাটছিলাম। হঠাৎ দেখলাম আম্মার (রা:), তাঁর পিতা ইয়াসেরকে ও তাঁর মাতা সুমাইয়্যাকে (রা:) সূর্যের তাপে ফেলে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে যাতে করে তাঁরা ইসলাম ত্যাগ করে। আম্মার (রা:) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে উদ্দেশ্য করে বলল, যুগ যুগ ধরে কি এই শাস্তি চলতে থাকবে? তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে ইয়াসিরের পরিবার! তোমরা ধৈর্য্য ধারণ কর। এরপর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইয়াসির পরিবারের জন্য দোয়া করলেন, হে আল্লাহ! তুমি ইয়াসিরের পরিবারকে ক্ষমা করে দাও এবং আমার নিশ্চিত বিশ্বাস) তুমি তা করেছো ।"১০৪
পূর্বেকার মুমিনদের উপর শাস্তির ব্যাপারে খাব্বাব (রা:) এর ঘটনা
عن خباب بن الأرت قال شكونا إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم وهو متوسد بردة له في ظل الكعبة قلنا له ألا تستنصر لنا ألا تدعو الله لنا قال كان الرجل فيمن قبلكم يحفر له في الأرض فيجعل فيه فيجاء بالمنشار فيوضع على رأسه فيشق باثنتين وما يصده ذلك عن دينه ويمشط بأمشاط الحديد ما دون لحمه من عظم أو عصب وما يصده ذلك عن دينه والله ليتمن هذا الأمر حتى يسير الراكب من صنعاء إلى حضرموت لا يخاف إلا الله أو الذنب على عتمه
ولكنكم تستعجلون
অর্থ: “খাব্বাব ইবনে আরাত (রা:) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাবার ছায়াতলে চাঁদর গায়ে দিয়ে শুয়ে থাকাবস্থায় আমরা তাঁর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাছে অভিযোগ করলাম। আমরা বললাম, আপনি কি আমাদের জন্য সাহায্য প্রার্থনা করবেন না, আমাদের জন্য দোয়া করবেন না। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “তোমাদের পূর্বের এমনও ঈমানদার ছিলেন তাকে ধরে এনে মাটির গর্ত খোড়া হতো। তারপর তার মধ্যে তাকে ফেলা হতো, এর পর করাত নিয়ে আসা হতো, সেটা তার মাথার উপর রাখা হতো, এরপর তাকে দ্বিখণ্ডিত করে ফেলা হতো, লোহার চিরুণী দ্বারা তার শরীরের মাংস হাড্ডি থেকে আলাদা করে ফেলা হতো। এতো অত্যাচারও তাকে দ্বীন থেকে বিন্দু পরিমাণও সরাতে পারতো না। আল্লাহর কসম! নিশ্চয়ই আল্লাহ এই দ্বীনকে অবশ্যই পূর্ণ করবেন এমনকি একজন আরোহী সান’আ থেকে হাযরা মাউত পর্যন্ত নিরাপদে সফর করবে এবং তখন আল্লাহর ভয় ও বকরির উপর বাঘের আক্রমনের ভয় ছাড়া তার আর কোন ভয় থাকবে না। কিন্তু তোমরা খুবই তাড়াহুড়া করছো ১০৫
আম্মার (রা:) এর মা সুমাইয়্যা (রা:) এর ঘটনা
عن مجاهد ، قال : أول شهيد استشهد في الإسلام أم عمار ، طعنها أبو جهل
بحرية في قبلها.
অর্থ: “মুজাহিদ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, ইসলামে সর্বপ্রথম শহীদ যাকে শুধু ইসলামের জন্যই শহীদ করা হয়। তিনি হচ্ছেন আম্মারের মা সুমাইয়্যা (রা:)। আবু জাহেল তার লজ্জাস্থানে বর্শা দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে। ১০৬
এধরণের যুলুম-নির্যাতন আসবে তা সত্ত্বেও যারা হকের উপর অটল থাকবে তাদের ব্যাপারে আল্লাহ্ (সুব:) ইরশাদ করেছেন:
لتبلون في أموالكم والفسكم ولتسمعن من الذين أوتوا الكتاب من قبلكم ومن
الذين أشركوا أذى كثيرا وإن تصبروا وتتقوا فإن ذلك من عزم الأمور.
অর্থ: “অবশ্যই তোমাদেরকে তোমাদের ধন-সম্পদ ও তোমাদের নিজ জীবন সম্পর্কে পরীক্ষা করা হবে । আর অবশ্যই তোমরা শুনবে তোমাদের পূর্বে যাদের কিতাব দেয়া হয়েছে তাদের পক্ষ থেকে এবং মুশরিকদের পক্ষ থেকে অনেক কষ্টদায়ক কথা। আর যদি তোমরা ধৈর্য ধর এবং তাকওয়া অবলম্বন কর তবে নিশ্চয় তা হবে দৃঢ় সংকল্পের কাজ ।"১০৭
অপর আয়াতে আল্লাহ্ (সুব:) ইরশাদ করেন:
{ولا يزالون يقاتلونكم حتى يردوكم عن دينكم إن استطاعوا} [البقرة : ٢١٧]
অর্থ: 'আর তারা তোমাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাকবে, যতক্ষণ না তোমাদেরকে তোমাদের দ্বীন থেকে ফিরিয়ে দেয়, তারা যদি পারে।”১০৮ আমাদের রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে হত্যা করার চক্রান্ত ও করা হয়েছিল আল্লাহ্ (সুব:) ইরশাদ করেন:
{وإذ يمكر بك الذين كفروا ليشتوك أو يقتلوك أو يخرجوك ويمكرون ويمكـر
অর্থ: “আর যখন কাফিররা তোমাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছিল, তোমাকে বন্দী করতে অথবা তোমাকে হত্যা করতে কিংবা তোমাকে বের করে দিতে। আর তারা ষড়যন্ত্র করে এবং আল্লাহও ষড়যন্ত্র করেন। আর আল্লাহ্ হচ্ছেন ষড়যন্ত্রকারীদের মধ্যে উত্তম ।

মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন