দ্বীনে হক কায়েম হলে বাতিলের অবস্থা কি হয়?
প্রশ্নঃ দ্বীনে হক কায়েম হলে বাতিলের অবস্থা কি হয়?
উত্তর: যেখানে দ্বীনে বাতিল কায়েম আছে সেখানে যেমন দ্বীনে হক বাতিলের অধীন হয়ে থাকতে বাধ্য হয়, তেমনি দ্বীনে হক কায়েম হলে বাতিলকেও হকের অধীন হতে হয় । আল্লাহ (সুব:)বাতিলকে খতম করার হুকুম দেননি। তিনি হককে বিজয়ী করার নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে:
هو الذي أرسل رسوله بالهدى ودين الحق ليظهره على الدين كله
অর্থ: “তিনিই তাঁর রাসূলকে হিদায়াত ও সত্য দ্বীন সহ প্রেরণ করেছেন, যাতে তিনি একে সকল দীনের উপর বিজয়ী করেন ।”৩৬ হক বিজয়ী হলে বাতিলকে ততটুকুই বেঁচে থাকার অধিকার ও সুযোগ দেয়া হবে, যতটা হকের জন্য ক্ষতিকর নয়। যেমন বর্তমানে দ্বীনে হক ততটুকুই টিকে আছে যতটুকুতে বাতিলের আপত্তি নেই বা যতটুকু থাকলে দ্বীনে বাতিলের কোন বিশেষ ক্ষতি হয় না ।
আল্লাহ্ (সুব:) মানুষকে যে উন্নত নৈতিক সত্তা হিসেবে মর্যাদা দিতে চান তা একমাত্র দ্বীনে হকের অধীনেই সম্ভব। মানুষের মধ্যে পশুত্বের প্রবণতাকে নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তে তা আরও আস্কারা দেয়ার জন্য দ্বীনে বাতিলের পক্ষ থেকে বস্তুগত অদ্ভূত অদ্ভূত দর্শন সৃষ্টি করা হয়েছে । ফলে মানুষ পশুর চেয়েও অধম ও জঘন্য চরিত্রের পরিচয় দিচ্ছে।
দ্বীনে হক বিজয়ী হলে মানুষকে সত্যিকার মানুষের মর্যাদায় উন্নীত করার জন্য আল্লাহর (সুব:) দেয়া বিধানকে বাস্তবে প্রয়োগ করা সম্ভব হবে। বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেকালে দুনিয়ার সবচেয়ে অসভ্য ও নিকৃষ্ট মানব সমাজকে দ্বীনে হকের মাধ্যমেই ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম ও সভ্যতম সমাজে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছিলেন ।

মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন