পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আমাদের উপরও কি আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষা আসবে?

ছবি
আমাদের উপরও কি পরীক্ষা আসবে?  উত্তর: হ্যা! যারাই দ্বীনে হক্বের কথা বলবে তাদের উপরেই পরীক্ষা আসবে কারণ পরীক্ষা ছাড়া খাঁটি মু'মিন হওয়া যায় না । স্বর্ণ যদি সুন্দরী নারীর গলায় ঝুলতে চায় তাহলে তাকে আগুনে পোড়া খেতে হয়, হাতুড়ীর পেটা খেতে হয়। তেমনিভাবে মুমিনরাও যদি জান্নাত পেতে চায় তাহলে তাদেরকেও পরীক্ষার সম্মুখিন হতে হবে। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ্ (সুব:) ইরশাদ করেছেন: أم حسبتم أن تدخلوا الجنة ولما يأتكم مثل الذين خلوا من قبلكم مـستهم البأساء والضراء وزلزلوا حتى يقول الرسول والذين آمنوا معه متى نصر الله آل  অর্থ: “তোমরা কি ভেবেছ যে, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে অথচ এখনো তোমাদের নিকট তাদের মত কিছু আসেনি, যারা তোমাদের পূর্বে বিগত হয়েছে । তাদেরকে স্পর্শ করেছিল কষ্ট ও দুর্দশা এবং তারা কম্পিত হয়েছিল এমনকি রাসূল ও তার সাথি মুমিনগণ বলছিল, 'কখন আল্লাহর সাহায্য (আসবে)'? জেনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহর সাহায্য নিকটবর্তী । অপর আয়াতে ইরশাদ হয়েছে: ولنبلونكم بشيء من الخوف والجوع ونقص من الأموال والأنفس والثمـرات অর্থ: “আর আমি অবশ্যই তোমাদেরকে পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং জান-মাল ও ফল-ফলাদি...

আল্লাহর রীতি মুতাবেক কারা এই যমীনে সবচেয়ে বেশী পরীক্ষিত হন?

ছবি
  আল্লাহর রীতি মুতাবেক কারা এই যমীনে সবচেয়ে বেশী পরীক্ষিত হন?  উত্তরঃ- সা'দ ইবন্ আবি ওয়াক্কাস (রা:) হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেনঃ عن سعد قال سألت رسول الله صلى الله عليه وسلم أي الناس أشد بلاء فقـال الأنبياء ثم الأمثل فالأمثل فيبتلى الرجل على حسب دينه فإن كان رقيـق الـدين ابتلي على حسب ذاك وإن كان صلب الدين ابتلي على حسب ذاك قـال فمـا تزال البلايا بالرجل حتى يمشي في الأرض وما عليه خطيئة অর্থ: “সা'দ ইবনে আবী ওয়াক্কাস (রা:) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: আমি বললাম: 'হে আল্লাহ্র রাসূল! মানবজাতির মধ্যে কারা সবচেয়ে বেশি কঠোর যন্ত্রণা ভোগ করে?' তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জবাব দিলেনঃ “নবীগণ, অতঃপর তারা যারা তাদের খুব কাছাকাছি পর্যায়ের, এবং তারপর তারা যারা তাদের খুব কাছাকাছি পর্যায়ের। মানুষ তার দ্বীনের উপর যতটা শক্তিমান হয় সেই হিসেবে তার পরীক্ষা নেয়া হয়। কাজেই যদি সে দ্বীন পালনে কঠোর না হয় তাহলে তার পরিক্ষাও হালকা হবে আর যদি দ্বীন পালনে কঠোর হয় তাহলে তার পরিক্ষাও কঠিন হবে ।  একজন বিশ্বাসীকে ক্রমান্বয়ে পরীক্ষা করা হয় যতক্ষণ পর্যন্ত না সে জমীনের উপর দিয়ে নিষ্পাপ হ...

বর্তমান যুগে দ্বীনে বাতিলের অনুসারীরা দ্বীনে হক্কের বিরূদ্ধে কি ধরণের চক্রান্তে লিপ্ত আছে?

ছবি
   বর্তমান যুগে দ্বীনে বাতিলের অনুসারীরা দ্বীনে হক্কের বিরূদ্ধে কি ধরণের চক্রান্তে লিপ্ত আছে?  উত্তর: বর্তমান যুগের দ্বীনে বাতিলের অনুসারীরা তাদের পূর্বসুরী ফেরআউন, নমরূদ, আবু জাল, আবু লাহাবদের সহ সকল দ্বীনে বাতিলের পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করা ছাড়াও নতুন কিছু পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে যা পূর্বে দ্বীনে বাতিলের অনুসারীরা করে নি। আর সেগুলো সর্ম্পকে র্যান্ড এর কিছু পরিকল্পনা ও পরামর্শ তুলে ধরলাম । এখানে Rand ইনস্টিটিউট-এর একটি সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন তুলে ধরতে চাই । Rand একটি মুনাফাবিহীন সংগঠন। যার ১৬০০ জন কর্মচারী রয়েছে। তারা বিভিন্ন বিষয়ে বিশ্লেষণের ফলাফল সমূহ মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করে। ৯৭ “র্যান্ড (RAND) ইনস্টিটিউটের ২০০৭ সালের একটি রিপোর্ট থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে শুরু করছি। এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, “অধিকাংশ মুসলিম বিশ্বে যে সংগ্রাম চলছে, তা সত্যিকার অর্থে একটি ‘মতাদর্শগত যুদ্ধ’ এর ফলাফলই নির্ধারণ করবে মুসলিম বিশ্বের আগামী দিনের পথ নির্দেশনা।” যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের চতুর্মাসিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, “যুক্তরাষ্ট্র এমন এক যুদ্ধে জড়িত যা একই সাথে অস্ত্রের ও আদ...

সকল নবী-রাসূলগণের দায়িত্ব কি ছিল? দলীল-প্রমাণসহ বর্ণনা :

ছবি
   প্রশ্ন: সকল নবী-রাসূলগণের দায়িত্ব কি ছিল? দলীল-প্রমাণসহ বর্ণনা করুন? উত্তর: সকল নবী-রাসূলগণের দায়িত্ব ছিল দ্বীন কায়েম করা। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে: { شرع لكم من الدين ما وصى به نوحا والذي أوحينا إليك وما وصينا به إبراهيم أن أقيموا الدين ولا تتفرقوا فيه} [الشورى : 13] وموسى وعيسي )  অর্থ: “তিনি তোমাদের জন্য দ্বীন (জীবন ব্যবস্থা) বিধিবদ্ধ করে দিয়েছেন; (তা হচ্ছে ঐ জীবন ব্যবস্থা) যার ব্যাপারে তিনি নূহ (আ:) কে নির্দেশ দিয়েছিলেন । আর আমি (আল্লাহ) তোমার কাছে যে ওহী পাঠিয়েছি এবং ইবরাহীম, মূসা ও ঈসাকে যে নির্দেশ দিয়েছিলাম তা হল, তোমরা দ্বীন কায়েম করো এবং এই ব্যাপারে (দ্বীন কায়েম করতে গিয়ে) একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ো না।"৬৫ আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দায়িত্ব ছিল দ্বীন কায়েম করা । আল্লাহ (সুব:) পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেছেন:  { هو الذي أرسل رسوله بالهدى ودين الحق ليظهره على الدين كله ولو كـره { অর্থ: “তিনিই তাঁর রাসূলকে হিদায়াত ও সত্য দ্বীনসহ প্রেরণ করেছেন, যাতে তিনি একে সকল দ্বীনের উপর বিজয়ী করেন, যদিও মুশরিকরা ...

দ্বীন কায়েমের বাস্তব উদাহরণ কি?

ছবি
     দ্বীন কায়েমের বাস্তব উদাহরণ কি?  উত্তর: এ পর্যায়ে আমাদের সামনে দুটি প্রশ্ন দেখা দেয়। একটি হলো দ্বীন কায়েম করার অর্থ কি? অপরটি হলো 'দ্বীন' অর্থ কি যা কায়েম করার এবং কায়েম রাখার আদেশ করা হয়েছে? এ দুটি বিষয় ভলোভাবে বুঝে নেওয়া দরকার । ‘কায়েম করা' কথাটি যখন কোন বস্তুগত বা দেহধারী জিনিসের জন্য ব্যবহৃত হয় তখন তার অর্থ হয় উপবিষ্টকে উঠানো, যেমন: কোন মানুষ বা জন্তুকে উঠানো। কিংবা পড়ে থাকা জিনিসকে উঠিয়ে দাঁড় করানো। যেমন: বাঁশ বা কোন থাম তুলে দাঁড় করানো। অথবা কোন জিনিসের বিক্ষিপ্ত অংশ গুলোকে একত্রিত করে সমুন্নত করা। যেমন কোন খালি জায়গায় বিল্ডিং নির্মাণ করা। কিন্তু যা বস্তুগত বা দেহধারী জিনিস নয় বরং অবস্তুগত বা দেহহীন জিনিষ তার জন্য যখন কায়েম করা শব্দটি ব্যবহার করা হয় তখন তার অর্থ শুধু সেই জিনিসের প্রচার করাই নয়, বরং তা যথাযথভাবে কার্যে পরিণত করা, তার প্রচলন ঘটানো এবং কার্যত প্রতিষ্ঠা করা । উদাহরণ স্বরূপ যখন আমরা বলি, অমুক ব্যক্তি তার রাজত্ব কায়েম করেছে তখন তার অর্থ এই হয় না যে, সে তার রাজত্বের দিকে আহবান জানিয়েছে। বরং তার অর্থ হয়, সে দেশের লোকদের...

আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েমের বিধান কি ?

ছবি
  আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েমের বিধান কি? উত্তর: আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েম করা ফরজ। ইরশাদ হচ্ছে: {شرع لكم من الدين ما وصى به نوحا والذي أوحينا إليك وما وصينا به إبراهيم موسى وعيسى أن أقيموا الدين ولا تتفرقوا فيه} [الشوري : অর্থ: “তিনি তোমাদের জন্য দ্বীন (জীবন ব্যবস্থা) বিধিবদ্ধ করে দিয়েছেন; (তা হচ্ছে ঐ জীবন ব্যবস্থা) যার ব্যাপারে তিনি নূহ (আ:) কে নির্দেশ দিয়েছিলেন। আর আমি (আল্লাহ) তোমার কাছে যে ওহী পাঠিয়েছি এবং ইবরাহীম, মূসা ও ঈসাকে যে নির্দেশ দিয়েছিলাম তা হল, তোমরা দ্বীন কায়েম করো এবং এই ব্যাপারে (দ্বীন কায়েম করতে গিয়ে) একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ো না।”৩৯ যেহেতু এ আয়াতটিকে দ্বীন ও দ্বীনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে আলোকপাত করা হয়েছে, তাই এর ব্যাপারে ভালোভাবে চিন্তা ভাবনা করে তা বুঝে নেয়া আবশ্যক: বলা হয়েছে । “তোমাদের জন্য নির্ধারণ করেছেন।” শব্দের আভিধানিক অর্থ 'রাস্তা তৈরী করা' এবং এর পারিভাষিক অর্থ পদ্ধতি, বিধি ও নিয়ম-কানুন রচনা করা । এই পারিভাষিক অর্থ অনুসারে আরবী ভাষায় এ শব্দটি আইন প্রণয়ন (Legislation)| ৯ এবং ১n এ শব্দটি আইন (Law...

ইক্বামাতে দ্বীনের দায়িত্ব কার?

ছবি
  ইক্বামাতে দ্বীনের দায়িত্ব কার? উত্তর: আল্লাহ (সুব:)এ  দায়িত্ব দিয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পাঠিয়েছেন। যেমন কুরআন পাকের তিনটি সূরায় এ বিষয়ে পরিষ্কার ভাষায় ঘোষণা করা হয়েছে: هو الذي أرسل رسوله بالهدى ودين الحق ليظهره على الدين كله [التوبة/33، অর্থ: “তিনিই তাঁর রাসূলকে হিদায়াত ও সত্য দ্বীন সহ প্রেরণ করেছেন, যাতে তিনি একে সকল দ্বীনের উপর বিজয়ী করেন ।"৩৭ কিন্তু এ দায়িত্ব কি শুধু রাসুলেরই! রাসূলের প্রতি যারা ঈমান এনেছিলেন তাঁরা কি শুধু সালাত, সাওম ও অন্যান্য কতক ধর্মীয় দায়িত্ব পালন করাই নাজাতের জন্য যথেষ্ট মনে করতেন? কুরআন ও হাদীস একথার সাক্ষী দেয় যে, প্রত্যেক ঈমানদারকেই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে ইকামাতে দ্বীনের দায়িত্ব পালনে জান ও মাল দ্বারা পূর্ণরূপে শরীক হতে হতো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইমামতিতে মদীনার মসজিদে জামায়াতে সালাত আদায়কারী এক হাজার লোক নিয়ে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উহুদের যুদ্ধে রওনা হলেন । কিছুদূর যেয়ে আব্দুল্লাহ বিন উবাই এর নেতৃত্বে তিনশ’ লোক যুদ্ধে শরীক না হয়ে ফিরে এল...