পোস্টগুলি

জুলাই, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

দ্বীনে হক কায়েম হলে বাতিলের অবস্থা কি হয়?

ছবি
   প্রশ্নঃ দ্বীনে হক কায়েম হলে বাতিলের অবস্থা কি হয়? উত্তর: যেখানে দ্বীনে বাতিল কায়েম আছে সেখানে যেমন দ্বীনে হক বাতিলের অধীন হয়ে থাকতে বাধ্য হয়, তেমনি দ্বীনে হক কায়েম হলে বাতিলকেও হকের অধীন হতে হয় । আল্লাহ (সুব:)বাতিলকে খতম করার হুকুম দেননি। তিনি হককে বিজয়ী করার নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে: هو الذي أرسل رسوله بالهدى ودين الحق ليظهره على الدين كله  অর্থ: “তিনিই তাঁর রাসূলকে হিদায়াত ও সত্য দ্বীন সহ প্রেরণ করেছেন, যাতে তিনি একে সকল দীনের উপর বিজয়ী করেন ।”৩৬ হক বিজয়ী হলে বাতিলকে ততটুকুই বেঁচে থাকার অধিকার ও সুযোগ দেয়া হবে, যতটা হকের জন্য ক্ষতিকর নয়। যেমন বর্তমানে দ্বীনে হক ততটুকুই টিকে আছে যতটুকুতে বাতিলের আপত্তি নেই বা যতটুকু থাকলে দ্বীনে বাতিলের কোন বিশেষ ক্ষতি হয় না ।  আল্লাহ্ (সুব:) মানুষকে যে উন্নত নৈতিক সত্তা হিসেবে মর্যাদা দিতে চান তা একমাত্র দ্বীনে হকের অধীনেই সম্ভব। মানুষের মধ্যে পশুত্বের প্রবণতাকে নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তে তা আরও আস্কারা দেয়ার জন্য দ্বীনে বাতিলের পক্ষ থেকে বস্তুগত অদ্ভূত অদ্ভূত দর্শন সৃষ্টি করা হয়েছে । ফলে মানুষ পশু...

যেখানে 'দ্বীনে বাতিল' কায়েম বা বিজয়ী আছে সেখানে 'দ্বীনে হকের' অবস্থা কিরূপ?

ছবি
  বর্তমান মুসলিম বিশ্বে দ্বীনে হকের অবস্থা     প্রশ্ন: যেখানে 'দ্বীনে বাতিল' কায়েম বা বিজয়ী আছে সেখানে 'দ্বীনে হকের' অবস্থা কিরূপ? উত্তর: এটা প্রশ্নের অপেক্ষা রাখে না। 'দ্বীনে হক' সেখানে দ্বীনে বাতিলে’রই অধীনে রয়েছে। অর্থাৎ 'দ্বীনে হক' বাংলাদেশ, পাকিস্তানসহ সকল মুসলিম দেশগুলোতে ততটুকুই বেঁচে আছে, যতটুকু দ্বীনে বাতিল অনুমতি দিয়েছে। দ্বীনে হকে’র ততখানি অংশই চালু আছে, যতটুকুতে দ্বীনে বাতিলের কোন আপত্তি নেই । অর্থাৎ 'ইসলাম' বর্তমান মুসলিম দেশগুলোতে ঐ পরিমাণই টিকে আছে, যতটুকু দ্বীনে বাতিল বাঁধা দেয় না। আর 'দ্বীনে বাতিল’ ‘দ্বীনে হকে’র শুধু ততখানিই অনুমতি দেয়, যতখানি ওদের নিজেদের তৈরী করা মানব রচিত সংবিধানের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। যেমন বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭' এর দ্বিতীয় ধারাতে বলা হয়েছে, 'জনগণের অভিপ্রায়ের পরম অভিব্যক্তিরূপে এই সংবিধান প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ আইন এবং অন্য কোন আইন যদি এই সংবিধানের সহিত অসামঞ্জস্য হয়, তাহা হইলে সেই আইনের যতখানি অসামঞ্জস্যপূর্ণ, ততখানি বাতিল হইবে । এর দ্বারা স্পষ্ট হয়ে গেল যে 'দ্বীনে বাত...

ইক্বামাত শব্দের অর্থ কি? ইক্বামাতে দ্বীন বলতে কি বুঝায়?

ছবি
  প্রশ্ন: ইক্বামাত শব্দের অর্থ কি? ইক্বামাতে দ্বীন বলতে কি বুঝায়?  উত্তর: ইকামাত শব্দটির আরবীতে কয়েকটি প্রতিশব্দ রয়েছে: ↓, অর্থ: উপরে উঠানো, দাঁড় করানো, তুলে ধরা ।  অর্থ: নির্মাণ করা, তৈরী করা, অস্তিত্বে আনা, স্থাপন করা  অর্থ: প্রতিষ্ঠা করা, প্রতিষ্ঠান কায়েম করা । অর্থ: স্থাপন করা যেমন খুঁটি স্থাপন করা। সুতরাং 'ইক্বামাত' শব্দের অর্থ হলো:- কায়েম করা, প্রতিষ্ঠা করা, চালু করা, দাঁড় করানো, অস্তিত্বে আনা ইত্যাদি । কুরআন পাকে । কথাটি বহুবার ব্যবহার করা হয়েছে। এর অর্থ “সালাত কায়েম কর।" (ইকামাতুস সালাত) মানে 'সালাত চালূ করা'। ফরয। সালাতের পূর্বে মুয়াজ্জিন যেই ‘ইকামাত’ দেয় এর শেষ দিকে বলা হয় এ অর্থাৎ সালাত দাঁড়িয়ে গেছে বা সালাত শুরু হয়েছে । সালাতের মাসআলা শেখা, সালাত সম্পর্কে জানা বা সালাতের বয়ান করাকে ‘ইক্বামাতে সালাত' বলে না। বরং বাস্তবে সালাত চালূ হয়ে যাওয়াকেই “ইক্বামাতে সালাত' বলে। কোন ব্যাক্তির জীবনে সালাত কায়েম হওয়ার অর্থ হলো যে, সে নিয়মিত, যথা সময়ে, জামায়াতের সাথে সঠিক নিয়মে সালাত আদায় করে । কোন মহল্লায় সালাত কায়েম হওয়ার অর্থ হলো ...

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর জীবনই দ্বীন ইসলামের বাস্তব নমুনা :

ছবি
   রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবনই দ্বীন ইসলামের বাস্তব নমুনা : দ্বীন ইসলাম কতটা ব্যাপক তা শেষ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাস্তব জীবন থেকেই পরিষ্কার বুঝা যায়। তিনি আল্লাহর রাসূল হিসেবেই সব কাজ করতেন। মসজিদে ইমামতি করার সময় তিনি যেমন রাসূল ছিলেন, মদীনার রাষ্ট্র পরিচালনার সময়ও তিনি রাসূল ছিলেন । যুদ্ধের ময়দানেও তিনি রাসূল ছিলেন। অর্থাৎ তিনি যত কাজ করেছেন ও যত কথা বলেছেন তা রাসূলুল্লাহ হিসেবেই করেছেন ও বলেছেন। ধর্মীয় বিষয়ে যেমন তিনি রাসূল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, তেমনি ব্যবসা বাণিজ্য, রাজনীতি, অর্থনীতি, যুদ্ধনীতি ইত্যাদি ক্ষেত্রেও রাসূল হিসেবেই সবকিছু করেছেন। তাই রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর গোটা জীবনটাই আল্লাহর দ্বীন বা আল্লাহর আনুগত্যের মধ্যে শামিল। অর্থাৎ রাসূলের জীবন যতটা ব্যাপক দ্বীন ইসলামও ততটা ব্যাপক। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সর্বাবস্থায় পূর্ণরূপে মেনে চলাই মুসলিম জীবনের কর্তব্য। শুধু ধর্মীয় বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মেনে চললেই ইসলামী জীবন গড়ে উঠে না। সুতরাং যারা...

দ্বীন বলতে কি শুধু ধর্মীয় বিষয়কেই বুঝায় না ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়গুলোও এর অস্ত র্ভূক্ত?

ছবি
    প্রশ্ন: দ্বীন বলতে কি শুধু ধর্মীয় বিষয়কেই বুঝায় না ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়গুলোও এর অস্ত র্ভূক্ত? উত্তর: আল্লাহর আনুগত্যের বিধান হিসেবে  দ্বীন ইসলাম'কে মানব জীবনের সকল দিক ও বিভাগের জন্যই উপযোগী করে তৈরী করা হয়েছে । ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সব বিষয়ে যাতে মানুষ একমাত্র আল্লাহর সঠিক আনুগত্য করতে পারে, সে উদ্দেশ্যেই আল্লাহ (সুব:) স্বয়ং ইসলামী জীবন বিধান রচনা করেছেন। সব দেশ, সব কাল ও সব জাতির উপযোগী জীবন বিধান রচনার ক্ষমতা আল্লাহ ছাড়া আর কারো হতেই পারে না । আল্লাহর রচিত এ জীবন বিধানকে বাস্তব জীবনে কিভাবে পালন করা যায়, তার সত্যিকার নমুনা মানব জাতির নিকট পেশ করার জন্যই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। কুরআনে আল্লাহ (সুব:) স্বয়ং এ ঘোষণা দিয়েছেন যে, {لقد كان لكم في رسول الله أسوة حسنة لمن كان يرجو الله واليـوم الـآخر  { অর্থ: “অবশ্যই তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ। তাঁদের জন্য যারা আল্লাহ ও পরকালের প্রত্যাশা করে এবং আল্লা...

'দ্বীন' শব্দের অর্থ কি?

ছবি
    প্রশ্ন: 'দ্বীন' শব্দের অর্থ কি?  উত্তর: 'দ্বীন' শব্দের একাধিক অর্থ রয়েছে । কুরআন মজীদে বিভিন্ন অর্থেই এ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে । কোন্ স্থানে কি অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে থেকে বিচ্ছিন্ন করে ঐ শব্দের অর্থ সঠিকভাবে বুঝার উপায় নেই । 'দ্বীন' শব্দের কয়েকটি অর্থ কুরআন পাকে সুস্পষ্টভাবে বুঝা যায় নিম্নে তা পূর্ণ বাক্য থেকে বুঝা যাবে । যে বাক্যে শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে তা উল্লেখ করা হলো: এক: প্রতিদান, প্রতিফল, বিনিময় ইত্যাদি । দুই: আনুগত্য বা হুকুম মেনে চলা । তিন: আনুগত্য করার বিধান বা আনুগত্যের নিয়ম (যা ওহীর মাধ্যমে  নির্ধারিত)। চার: আইন অর্থাৎ রাষ্ট্র ব্যবস্থা যে নিয়মের অধিনে চলে, অনুরূপ সমাজ ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও ব্যবহার হয় (যা ওহীর মাধ্যমে নয় বরং মানুষের সৃষ্টি করা)। কুরআন পাকের কয়েকটি আয়াত থেকে দ্বীন শব্দের এসব অর্থ অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে বুঝা যায় । প্রথম অর্থ: প্রতিদান বা বদলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে: অর্থ: “প্রতিদান দিবসের মালিক। ৬ তাফসীরে বাইযাভীতে বলা হয়েছে: ويوم الدين يوم الجزاء ومنه «كما تدين تدان» وبيت الحماسة : ولم يبـق سـوى العدوان دناهم ...

বিদআতকে যারা ভাগ করে তাদের যুক্তি প্রমাণ ও তার খণ্ডন :

ছবি
    বিদআতকে যারা ভাগ করে তাদের যুক্তি প্রমাণ ও তার খণ্ডন : বিদআতীগণ নিজেদের নব উদ্ভাবিত বিদআতকে বৈধতা দেয়ার জন্য কিছু হাদীস ও কিছু উদাহরণ পেশ করে থাকে । আমরা এখানে সেগুলো উল্লেখ করে তার জবাব দেয়ার চেষ্টা করবো । বিদআতীদের প্রথম দলীল: ওমর (রা:) একবার সালাতে তারাবীহ সম্পর্কে বলেছিলেন :  (কত না সুন্দর বেদআত এটি) বেদআতকে হাসানাহ ও সাইয়্যেআহ দ্বারা বিভক্তকারীদের নিকট ওমরের (রা:) এ উক্তিটি ব্যতীত তাদের মতের স্বপক্ষে আর কোন সহীহ দলিল নেই । খন্ডন: ওমর রা. এর বক্তব্যের উদ্দেশ্য বিদআতে শরয়ী নয়। বরং শাব্দিক অর্থে বিদআত বলেছেন। কেননা ইসলামী শরীয়তে বিদআত বলা হয় ১৮। ও দ্বীনের ভিতর এমন কিছু তৈরী করা যার কোনো ভিত্তি নেই।' দ্বীনের ভিতর বলার কারণে যে সকল নব আবিষ্কৃত কাজ পার্থিব জীবনের উন্নয়ণের জন্য তৈরী করা হয়েছে সেগুলো বিদআতের সংঙা থেকে খারিজ হয়ে গেছে। আর ভিত্তিহীন শব্দ দ্বারা যে সকল কাজের ভিত্তি আছে সেগুলো বিদআত থেকে খারিজ হয়ে গেছে। অর্থাৎ সেগুলো বিদআত নয়। তারাবীর সালাতের ভিত্তি আছে। রাসূলুল্লাহ (সা.) নিজে তারাবী আদায় করেছেন । তার সাথে সাহাবীরা আদায় করেছেন। আর রাসূল (সা.) নি...

বিদআত থেকে সাবধান হতে করনীয়

ছবি
    বিদআত থেকে সাবধান বিদআত বর্জন করা সম্পর্কীত কিছু হাদীস নিম্নে উল্লেখ করা হলো:  الله عنها قالت قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من أحدث في رضي عن عائشة ر أمرنا هذا ما ليس فيه فهو رد ‘ আমাদের এই ধর্মে (দ্বীনে) যে কেউ নতুন কিছু উদ্ভাবন করবে তা প্রত্যাখ্যান হবে।' (সহীহ বুখারী ২৬৯৭; সহীহ মুসলিম ৪৫৭৯; সুনানে আবু দাউদ ৪৬০৭) অন্যত্র এরশাদ করেছেন : وعضوا عليها بالنواجـذ فعليكم بسنتي وسنة الخلفاء المهديين الراشدين تمسكوا بها وإياكم ومحدثات الأمور فإن كل محدثة بدعة وكل بدعة ضلالة  'তোমরা আমার সুন্নাত এবং আমার পরবর্তী খেলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাত পালন করবে। আর তা দৃঢ়তার সাথে ধারণ করবে। সাবধান! কখনও ধর্মে (দ্বীনে) নব প্রবর্তিত কোন বিষয় গ্রহণ করবে না। কেননা প্রত্যেক নব প্রবর্তিত বিষয়ই বিদআ'ত এবং প্রত্যেক বিদআ'তই পথভ্ৰষ্টাত।' (সহীহ মুসলিম ৪৬০৯; সুনানে ইবনে মাজাহ ৪২; মুসনাদে আহমদ ১৭১৪৫) রাসূল (সা:) জুম'আর দিন খুৎবায় নিয়মিত বলতেন: عن جابر بن عبد الله قال كان رسول الله -صلى الله عليه وسلم- إذا خطب.. يقول أما بعد فإن خير الحديث كتاب الله وخير الهدي هدى محمد وشر الأمور محدث...

নবী রাসূলদের নামে বাড়াবাড়ির বিদআত গুলো কি কি?

ছবি
  নবী রাসূলদের নামে বাড়াবাড়ি এ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে আরেকটি বড় ধরণের বিদআত হলো: নবী রাসূলদের নিয়ে বাড়াবাড়ি করা। এদেশের একশ্রেণীর মুসলমানরা বিশ্বাস করে আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর জাতি নূরে তৈরী, তিনি মানুষ নন। এ কারণে তিনি আল্লাহরই একটি অংশ, ভিন্নকেউ নন । এ আকীদায় বিশ্বাসী লোকরা বলে থাকে محمد خدا نہیں * خدا سے جدا نہیں  ‘মুহাম্মদ খোদা নয়রে খোদার থেকে জুদা নয় # বাতির আলো বাতি নয়রে, বাতির থেকে জুদা নয় । শুধু তাই না এজন্য তারা তৈরী করেছে অসংখ্য জাল হাদীস। তার মধ্য থেকে একটি জাল হাদীস হলো এই: ৬ue bly আমি আহমদ তবে মিম ছাড়া (অর্থাৎ আহাদ), আর আমি আরব তবে আইন ছাড়া (অর্থাৎ রব)। এ কারণেই কোনো এক সূফীবাদী কবি তার কবিতার মাধ্যমে এই আকীদা ব্যক্ত করেছেন: আহমদের ঐ মিমের পর্দা তুলে দেরে মন দেখবি সেথায় করছে বিরাজ আহাদ নিরঞ্জন ।' (নাউযুবিল্লাহ) ইয়াহুদী-খ্রিস্টানরা যেভাবে তাদের নবী-রাসূলদের নিয়ে বাড়াবাড়ি করেছে । এ উম্মতেরও কিছু অংশ ঠিক সেভাবেই নবী রাসূলদের নিয়ে বাড়াবাড়ি করে বরং তার চেয়ে বেশী করে । কেননা ইয়াহুদী-খ্রিস্টানরা নবী রাসূলদের আল্লাহর পুত্র দাবী করেছ...

মিলাদ-কিয়ামের বিদআত গুলো কি কি?

ছবি
    মিলাদ-কিয়ামের বিদআতঃ  ভারতবর্ষে আরেকটি বহুল প্রচলিত বিদআতের নাম হলো, মীলাদ-কিয়াম । মীলাদিদের রয়েছে দুটি শ্রেণী একদল বসে মীলাদ পড়ে যারা লা-কিয়ামী নামে পরিচিত । আরেকদল দাড়িয়ে মীলাদ পরে তারা কিয়ামী নামে পরিচিত। দ্বিতীয় শ্রেণী মনে করে রাসূলুল্লাহ (সা.) মীলাদে স্বশরীরে হাজির হন তাই তাকে দাড়িয়ে সম্মান করা উচিত। যারা দাঁড়ায় না তারা বেয়াদব, রাসূলুল্লাহ (সা.) কে সম্মান দিতে জানে না। এরা নিজেদের কেউবা আশেকে রাসূল আবার কেউ বা রাসূল প্রেমিক দাবী করে। আর এজন্য আয়োজন করে বিশ্ব আশেকে রাসূল সম্মেলনের । এদের কিছু শ্লোগান হলো ‘ঘরে ঘরে মিলাদ দিন # রাসূলের শাফাআত নিন'। এরা রাসূল (সা.) এর জন্মদিনকে সকল ঈদের সেরা ঈদ হিসেবে জ্ঞান করে। এ জন্য তাদের শ্লোগন হলো, 'সকল ঈদের সেরা ঈদ # ঈদে মীলাদুন্নবী'। এ আকীদায় বিশ্বাসী লোকেরা নতুন কোনো দোকান-পাট, বাড়ি-ঘর, ব্যবসা-বানিজ্য, বিয়ে-শাদী ইত্যাদিতে মীলাদ দিয়ে কার্যক্রম শুরু করে। তাছাড়া সওয়াবের উদ্দেশ্যে মাঝে মধ্যেই মীলাদের আয়োজন করা হয়। অথচ এসকল আমল সবকিছুই বিদআত। রাসূলুল্লাহ (সা.) মীলাদের মাহফীলে রাসূল (সা.) এর হাজির হওয়ার আক্কী...

মীলাদ খতমের বিদআত সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো

ছবি
    মীলাদ খতমের বিদআত:  মানুষ মারা গেলে তিনদিনা মিলাদ, চল্লিশা মিলাদ, মৃত্যুবার্ষিকীর মিলাদ। আবার জন্মদিবস, ম্যারেজ ডে ইত্যাদি উদযাপন করা হয়। আবার এর সাথে কখনো কখনো যুক্ত হয় পারিশ্রমিকের বিনিময়ে কুরআন খতম নামক আরেক বিদআত । অথচ এগুলো রাসূলুল্লাহ (সা.) নিজে কিংবা তাঁর কোনো সাহাবী করেননি। কুরআন ও হাদীসে কোনো ভিত্তি নেই বরং পারিশ্রমিকের বিনিময়ে কুরআন খতম করানো কিংবা কোনো প্রকার দুআ-অজিফা করানো সম্পূর্ণ হারাম। যে পড়ে সেও হারাম কাজ করে, যে পড়ায় সেও হারাম কাজ করে। এ প্রসঙ্গে তাফসীরে মাআরিফুল কুরআনে নিম্নের আয়াতের তাফসীরে বলা হয়েছে: এ 'তোমরা আমার আয়াতকে স্বল্পমূল্যে বিক্রয় করো না।' (বাকারা ২:৪১ ) এ আয়াতের তাফসীরে বলা হয়েছে: “ঈসালে সওয়াব উপলক্ষ্যে খতমে কোরআনের বিনিময়ে পারিশ্রমিক গ্রহণ করা সর্বসম্মতভাবে না জায়েয আল্লামা শামী 'দুররে মুখতারের শরাহ' এবং 'শিফাউল-আলীল' নামক গ্রন্থে বিস্তারিতভাবে এবং অকাট্য দলীলাদিসহ একথা প্রমাণ করেছেন যে, কোরআন শিক্ষাদান বা অনুরূপ অন্যান্য কাজের বিনিময়ে পারিশ্রমিক গ্রহণের যে অনুমতি পরবর্তীকালের ফকীহগণ দিয়েছেন, তার কারণ এমন এক...

শাবান মাসে যে বিদআত হয় সেগুলো কি কি?

ছবি
  শাবান মাস কেন্দ্রীক বিদআতঃ অনেকের ধারণা শবে বরাতে যদিও কোনো বিশেষ ইবাদত কুরআন সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত নয়, তা সত্ত্বেও করলে অসুবিধা কি? নিষেধ তো আর নেই । মূলত এটাই সকল বিদআতিদের দলীল। তারা জানে না, এভাবে ইবাদতের নামে বিদআত তৈরী করার কারণেই যুগে যুগে আল্লাহর দ্বীনের পরিবর্তণ করা হয়েছে। বর্তমানেও তাই হচ্ছে। শবে বরাতের গুরুত্ব দেয়ার কারণে ফরজ সালাতের গুরুত্ব নষ্ট হয়ে যায়। এমনকি শবে বরাতের কারণে শবে কদরও ম্লান হয়ে যায় । শবে বরাতে রাতভর নফল সালাত আদায় করার পরে ফজরের সালাতে অংশগ্রহণ না করা অথবা ফজরের সালাতের পরে অন্যান্য সালাতে হাজির না হওয়া বিদআতের কুফলই বলতে হবে। কোনো কোনো মসজিদে শবে বরাতে সালাতুত তাসবীহ জামাতে আদায় করা হয়। অথচ রাসূলুল্লাহ (সা.) সাহাবায়ে কিরামদের নিয়ে এ সালাত কখনো জামাতে আদায় করেননি। কেউ হয়তো এখানেও বলবে রাসূলুল্লাহ (সা.) এটা না করলেও আমরা করলে অসুবিধা কি? অসুবিধা একটাই যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) এগুলো করেন নি। রাসূলুল্লাহ (সা.) যেগুলো করেন নি বা করতে বলেন নি তা যতভালো উদ্দেশ্যেই করা হোক না কেন অবশ্যই বিদআত ও গর্হিত কাজ। অনেকে আবার বিদআতকে হাসানা ও সায়্যিআহ...

শাবান মাসে করণীয় ইবাদত গুলো কি কি?

ছবি
   শাবান মাসে করণীয় ইবাদতঃ  উপরের আলোচনায় সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো যে, কুরআন মাজীদ কিংবা সহীহ হাসীসে শবে বরাতে বিশেষ কোনো ইবাদতের উল্লেখ নেই । আমলের কিতাবসমূহে বর্ণিত নফল সালাতের নিয়ম ও বিশাল অংকের সওয়াব সম্বলিত হাদীসগুলো হয়তো জাল নয়তো জয়ীফ । দু একটি হাসান বা জয়ীফ হাদীসের ভিত্তিতে কোনো কোনো আলেম ব্যক্তিগতভাবে তাওবা-ইস্তেগফার করা, নফল সালাত আদায় করা, শেষরাতে তাহাজ্জুদ আদায় করা ও আইয়্যামে বীজের নফল সাওম পালন করার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। কেননা শাবান মাসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বেশী বেশী ইবাদত করতেন এবং উম্মতকেও উৎসাহিত করতেন । এ প্রসঙ্গে কয়েকটি হাদীস নিম্নে প্রদত্ত হলো:  الله عليه وسـلم --صلی رسول أن الله عن عمران بن حصين - رضی قال له أو لآخر أصمت من سرر شعبان قال لا قال فإذا أفطرت فصم يومين  ‘ইমরান ইবনে হুসাইন (রা.) বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) তাকে অথবা অন্য কোনো সাহাবীকে বললেন, তুমি কি শাবানের মধ্যমভাগের সাওমগুলো পালন করেছো? লোকটি বললো না। রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, যখন রাখোনি তাহলে একদিন বা দুদিন সাওম পালন করো।' (মুসলিম ২৮০৮; বুখারী ১৯৮৩; আবু দাউদ ২৩৩০) এই হা...